গল্প : ম্যাডাম বউ


গল্প : ম্যাডাম বউ
পর্ব ১
লেখক : Adnan Habib 😍😍
কলেজ ক্যাম্পাসে আমার নাম বললে আমার বন্ধু যারা তারা ছিনবে যদি ফাজিল ছেলে বলেন তবে স্যার সহ সবাই আমাকে দেখিয়ে দিবে।এ কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র একমাস এই একমাসে ফাজলামির জন্য ফাজিল উপাধি পেয়েছি।
এর আগে তিনমাসে তিনটা কলেজ টি ছি নামক ডিভোর্স দিলো আমাকে ফাজলামির কারনে। এই কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে আব্বু বলছে এই কলেজ থেকে যদি টি ছি দেয় তাহলে তোর পড়ালেখা বন্ধ।
পড়ালেখা বন্ধ হতে পারে কিন্তু ফাজলামি বন্ধ করতে পারবো না তাই বাধ্য হয়ে প্রিন্সিপাল স্যার এর নাগিন ড্যান্স ক্যামেরায় বন্ধি করলাম।
একদিন প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে গিয়ে দেখি স্যার নাখ ডেকে ঘুমাচ্ছে। তাই সুযোগ বুঝে দোকান থেকে প্লাস্টিকের সাপ কিনে আনলাম। তারপর টেবিলের মধ্যে এমন ভাবে রাখলাম যেনো মনে হবে সত্যিকারের সাপ।
আর ঘুম থেকে উঠলেই সাপ্টাকে দেখতে পায় এমন করে রাখলাম। অনেক্ষন ধরে মোবাইলের ক্যামেরা অন করে লুকিয়ে আছি কিন্তু স্যার এর ঘুম ভাঙ্গছেই না।
তাই কাগজ দিয়ে কয়েকটা ঢিল মারছি তারপর সে কি চিৎকার আর ডান্স সেদিন পালিয়ে বাসায় চলে আসলাম।পরেরদিন কলেজে গিয়ে স্যার এর সাথে দেখা করলাম।
আমি : আসসালামু আলাইকুম স্যার কেমন আছেন।
প্রিঃস্যার : অলাইকুম আসসালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো।
আমি : জ্বি স্যার ভালো তবে স্যার কাল অফিসে আপনি সেই লেভেলের নাগীন ডান্স দিছেন পুরাই জোসসসস।
প্রিঃস্যার : তুমি কি করে জানলে সেখানেতো কেও ছিলো না তার মানে তুমি এসব করেছিলে বেয়াদব বদমাশ ছেলে।
আমি : কি করবো স্যার আব্বু বলেছে এই কলেজ থেকে টি ছি দিলে আর পড়তে দিবে না তাই বাধ্য হয়ে এসব করলাম।
প্রিঃস্যার : তোমাকে আমি এখনি টি ছি দিচ্ছি দাড়াও।
আমি : স্যার সে কাজ ভুলেও করবেন না তাহলে আমার মোবাইলে ধারণ কৃত আপনার নাগিন ডান্স পুরা ক্যম্পাসে হয়ে যাবে।
তারপর স্যার রাগে দুঃখে আর কিছুই বললেন না। এরপর থেকে ফাজলামি চলতেই আছে।
এবার আপনাদের পরিচয় দি আমি তামিম এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি।ফাজলামি কারনে ফাজিল উপাধি পেয়েছি। আব্বু ব্যবসা করে আর মা গৃহিণী আপাদত এইটুকুই থাক।
আজ কলেজে নতুন ম্যাডাম আসবে প্রিন্সিপাল স্যার আগেই আমাকে বলেছেন যেন ওনার সাথে ফাজলামি না করি কিন্তু কি করবো ফাজলামিতো করতেই হবে তা নাহলে ক্যম্পাসে আমার যে সুনাম রয়েছে তা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে।
তাই প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র ব্যাগে নিয়ে রাখলাম। ক্যাম্পাসে এসে দেখি বন্ধু চারজন ভট গাছের নিছে আড্ডা দিচ্ছে (মিম নীলা রিয়াদ রনি)কাছে যেতেই নীলা বাদে সবাই আমাকে দেখে পেলছে।
আমি হাত দিয়ে ইশারা করলাম যাতে তারা নীলাকে কিছু না বলে। আমি ব্যাগ থেকে ভুতের মাক্স নিয়ে পড়ে নীলার মাথার পিছনে গাট্টি মারলাম। নীলা পিছন পিরতে আমি সরে নীলার সামনে গিয়ে বসলাম।
আর নীলার দিকে তাকিয়ে আছি নীলা পিছন পিরে কাওকে না দেখে সামনে তাকাতেই ভুত বলে এক চিৎকার দিয়ে দু তিন হাত পিছনে চলে গেলো।আর আমরা সবাই হেসে উঠালাম।নীলা এসে আমার পিঠে কিল ঘুষি মারতেছে।
নীলা : ফাজিল আমিতো বিষণ ভয় পেলাম। (বুকে ফুঁ দিয়ে)
আমি : তুই এতো ভিতু আগেতো জানতাম না।
নীলা : তুই আমার জায়গা হলে বুঝতি সাহসী হস আর ভিতু ভয় তুই পেতি।
আমি : হয়েছে আর বলতে হবে না তা কি বিষয় নিয়ে আড্ডা হচ্ছে।
রনি : আজ নতুন ম্যাডাম আসবে তাকে নিয়ে।
আমি : তা ওনার বিষয় নিয়ে আড্ডা দেওয়ার কি আছে।
রিয়াদ : না শুনেছিলাম ওনি নাকি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ে অনেক মেধাবী তাই পার্টটাইম হিসেবে আমাদের কলেজে পড়াবেন।
আমি : পড়ালে পড়াবেন তাতে আমাদের কি।
মিম : হুম তাও ঠিক আচ্ছা চল ক্লাসে চল।
তারপর সবাই ক্লাসে চলে গেলাম।আমরা পাঁচজন একসাথে বসি আজকেও বসলাম। যথারীতি ক্লাস শুরু হয়ে গেলো।এবার আমাদের ইংলিশ ক্লাস কিন্তু স্যার আসতে দেরি করতেছে।
বসে থাকতে আমার বোরিং লাগছে তাই কাগজ দিয়ে কাগজের প্লেন বানালাম আর সেটা হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম।কাগজের প্লেনের সুঁচালো অংশ গিয়ে একটা মেয়ের নাখে বাজলো আর মেয়েটা উঁহ বলে একটা শব্দ করলো।
মেয়েটার হাতে একটা ইংলিশ বই সাধারণত স্যার কিংবা ম্যাডাম যে বিষয় ক্লাস নিন তিনি ওই বিষয়ের বই নিয়ে ক্লাসে আসেন। আমার আর বুঝতে বাকি নেই ওনি আমাদের নতুন ম্যাডাম এক নজর দেখে নিলাম।
ম্যাডামের গায়ের রঙ দুধে আলতা কাজল টানা চোখ চুল গুলা খোলা যে কোন ছেলেই ক্রাশ খাওয়ার জন্য যথেষ্ট কিন্তু আমি খেলাম না আমি এমন খাবার খাইনা।
ম্যাডাম মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ালেন। ম্যাডামের লাখ লাল হয়ে গেছে বুঝতে পারলাম ব্যথা পেয়েছেন।
ম্যাডাম : hi everyone আমি মেঘা তোমাদের নতুন ম্যাডাম আজই জয়েন করলাম আর তোমাদের ইংলিশ পড়াবো।
আমি : সাধারণত নতুন স্যার কংবা ম্যাডাম আসলে প্রিন্সিপাল স্যার সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় কিন্তু আপনি দেখি নিজেই আসছেন আমাদের আসাথে পরিচয় হতে।(দাঁড়িয়ে বললাম)
ম্যাডাম ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে কি যেনো চিন্তা করলেন।
ম্যাডাম : প্রিন্সিপাল স্যার কাজে ব্যস্ত তাই আমি নিজে আসলাম। আর হে এই কাগজের প্লেনটা আমার দিকে কে ছুড়ে মারছে।
চলবে............................

Comments

Post a Comment